খাদিজা আক্তার: জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি জেনারেল জ্যঁ পিয়ের লাক্রোয়া সোমবার ঢাকায় জাতিসংঘের সদস্যদেশগুলোর প্রতি এ আহ্বান জানান।

আগামী ডিসেম্বরে ঘানায় অনুষ্ঠিতব্য জাতিসংঘের শান্তি রক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের লাক্ষ্যে সোমবার ঢাকার একটি হোটেলে দুই দিনের প্রস্তুতি সভার সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন তিনি। সূত্র: প্রথম আলো

তিনি বলেন, জাতীয় পর্যায়ে ও শান্তি রক্ষা কার্যক্রমের প্রতিটি ক্ষেত্রে নারীর অর্থপূর্ণ অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে হবে। নারীর অংশগ্রহণ বাড়াতে নিরাপদ, সুষ্ঠু ও মর্যাদাপূর্ণ কর্মপরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

জ্যঁ পিয়ের লাক্রোয়া আরও বলেন, নারীর ক্ষেত্রে জাতিসংঘ পাঁচটি বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে সদস্যরাষ্ট্রগুলোকে তা মেনে চলার আহ্বান জানাচ্ছে। পাঁচটি বিষয় হচ্ছে প্রথমত, নারী যেসব প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হয়েছে সেগুলোর তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করা। কিছু দেশ প্রতিবন্ধকতা শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিয়ে ভালো উদাহরণ তৈরি করেছে, সেগুলো যেন অন্য সদস্য দেশগুলো অনুসরণ করে এবং সমস্যা সমাধানে উন্নয়নশীল দেশগুলো আর্থিক সহায়তাও চাইতে পারে।

দ্বিতীয়ত, প্রশিক্ষণ, নিয়োগ ও পদোন্নতিতে নারীর জন্য সমান সুযোগ তৈরি করতে হবে।

তৃতীয়ত, জাতীয় পর্যায়ে এবং শান্তি রক্ষা কার্যক্রমে নারীর জন্য জেন্ডারবান্ধব ও নিরাপদ কর্মপরিবেশ তৈরি করতে হবে। 

চতুর্থত, নারীর প্রতি যৌন নিপীড়ন, সহিংসতা ও বৈষম্য দূর করতে জাতিসংঘ যেভাবে কঠোর পদক্ষেপ নেয়, সেটা যেন অন্য দেশও অনুসরণ করে।

পঞ্চমত, জাতীয় পর্যায় থেকে শিক্ষা নিতে হবে এবং ইতিবাচক বিষয়গুলো চর্চা করতে হবে। এ বিষয়ে বিভিন্ন খাতের নারীদের জন্য জাতিসংঘের যে প্রকল্প রয়েছে, তা অনুসরণ করে প্রয়োগ করা।

সশস্ত্র বাহিনীর প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, বাংলাদেশে সশস্ত্র বাহিনীতে নারীর প্রতি যৌন নিপীড়নের ঘটনা খুবই কম। এ ধরনের ঘটনা ঘটলে সঙ্গে সঙ্গে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

বিভিন্ন দেশে শান্তি রক্ষা বাহিনীর ওপর ঘটে চলা সহিসংতা প্রতিরোধের আহ্বান জানান জাতিসংঘে নিযুক্ত বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি মোহাম্মদ আবদুল মুহিত।

বাংলাদেশ পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এআইজি) মো. কামরুল আহসান নারীদের কাজের ক্ষেত্রে যেসব প্রতিবন্ধকতা চিহ্নিত হয়েছে তা দূর করার আহ্বান জানান। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব